আপনি যদি ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে নিশ্চয় মাঝে মধ্যে খেয়াল করেছেন বেশ কিছু ঘণ্টার জন্য নেট থাকেনা। তখন হয়ত রাউটার অন অফ করে কিংবা আইএসপিকে বকাঝকা করে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়? হয়না, কারণ এই সমস্যা আপনার কিংবা আইএসপি এর না বরং এই সমস্যা হয়েছে একদম সমুদ্রের নিচের “সি ক্যাবল” কিংবা যাকে বলে “সাবমেরিক ক্যাবল” এর। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন আসছে, সাবমেরিন ক্যাবল কি? কিভাবে কাজ করে? কিংবা কেন প্রয়োজন এই সাবমেরিন ক্যাবল? এরকম সব প্রশ্নের উত্তরের পাশপাশি বিস্তারিত জানবো আজকের সর্বক্ষণের আর্টিকেলে।
সাবমেরিন ক্যাবল কি?
প্রচলিত ডেটা ট্রান্সফার সিস্টেমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি পদ্ধতি হচ্ছেঃ
১। ওয়্যার টেলিকমুনিকেশন বা তার এর মাধ্যমে টেলিকমুনিকেশন
২। ওয়্যারলেস টেলিকমুনিকেশন বা তার বিহীন টেলিকমুনিকেশন।
আমরা যখন মোবাইল ডেটা বা সিম কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করি কিংবা সিম এর মাধ্যমে ফোন কল করি তখন এই পদ্ধতিকে বলা হয় ওয়ারলেস কমুনিকেশন এবং যখন আমরা ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করি তখন সেটা ওয়্যার কমুনিকেশন।
দুইটি পদ্ধতিতেই বেশ অনেক সুবিধা-অসুবিধা আছে। যেমন-
ওয়্যার মাধ্যমের সুবিধাঃ
১। দ্রুত গতির ইন্টারনেট পাওয়া যায়।
২। আনলিমিটেড ইন্টারনেট তুলনামূলক কম মূল্যে পাওয়া যায়।
ওয়্যারলেস মাধ্যমের সুবিধাঃ
১। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সব জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
২। ডিসকানেক্ট কিংবা ট্রাবলশুটিং এর ঝামেলা কম।
ওয়্যার মাধ্যমের অসুবিধাঃ
১। ইচ্ছামতো যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা যায় না।
২। অনেক সময় ট্রাবলশুটিং এর ঝামেলা পোহাতে হয়।
৩। সেট আপ খরচ তুলনামূলক বেশি
ওয়্যারলেস মাধ্যমের অসুবিধাঃ
২। আনলিমিটেড সেবা পাওয়া যায়না।
২। মূল্য বেশ অনেক বেশি।
তবে আজকের আলোচনায় শুধু থাকবে ওয়্যার মাধ্যমের কমুনিকেশন। আর এই ওয়্যার মাধ্যমের কমুনিকেশন সম্ভব হয় এই সাবমেরিন ক্যাবল এর মাধ্যমে।
প্রথমত বুঝতে হবে যে ওয়্যার মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার এর জন্য মাধ্যমে হিসেবে তার এর ব্যবহার করা হয় এবং যেহেতু সারা বিশ্বে এই তারের কানেকশন থাকবে তাই এর সেটআপ করাটা বেশ কষ্টসাধ্য। আর এই সমস্যা সমাধানেই সমুদ্রের নিচে দিয়ে পুরো বিশ্বের মধ্যে কানেকশন তৈরি করা হয়।
সাবমেরিন ক্যাবল কিভাবে কাজ করে?
মূলত সাবমেরিন ক্যাবল এ ব্যবহার করা হয় ফাইবার-অপটিক প্রযুক্তি। এর মধ্যে একদম স্বচ্ছ এবং পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য উপযোগী কাচ ব্যবহার করা হয়। যেহেতু ডেটা হিসেবে আলোক রশ্মি পাঠানো হয় তাই এই পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন যোগ্য কাচের মধ্যে দিয়ে অনেক দ্রুত এবং বেশ কম ডেটা লসের মাধ্যমেই ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব হয়।
সাবমেরিন ক্যাবল এবং বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর যুগে প্রবেশ করে BSCCL ( Bangladesh Submarine Cable Company Limited ) এর হাত ধরে। সর্বপ্রথম দুইটি সাবমেরিন ক্যাবল SEA-ME-WE 4 এবং SEA-ME-WE 5 এর মাধ্যমে আমরা ব্রডব্যান্ড সেবা পাওয়া শুরু করি। ২০২০ সালেই শুধুমাত্র ৩০ মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আয় করা BSCCL দেশ সহ দেশের বাইরেও বেশ কিছু অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সুবিধা দিয়ে থাকে।
কিন্তু সাবমেরিক ক্যাবল সমুদ্রেই কেন?
ভালো প্রশ্ন, দেখুন যেহেতু সারাবিশ্বের মধ্যে কানেকশন স্থাপন করতে হবে এবং সেটা হতে হবে নিরবিচ্ছিন্ন তাই আকাশপথ এ খরচ হবে অনেক অনেক বেশি কারণ পোল স্থাপন করে সংযোগ দিতে গেলে সেক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যায় অনেক। আর সেজন্যই সমুদ্রের নিচে দিয়ে সংযোগ দেয়া সবথেকে ভালো বুদ্ধি।
সাবমেরিন ক্যাবল এর ইতিহাস!
সাবমেরিন ক্যাবল এর ধারনা নতুন মনে হলে এর ইতিহাস প্রায় ১৫০ বছর আগের। পুর্বে ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে টেলিগ্রাম কানেকশন এর জন্য প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও তখন একে সাবমেরিন ক্যাবল না বলে বলা হত “সাবসি ক্যাবল”। এরপরে এর সম্ভাবনা দেখে ১৮৫৬ সালে আমেরিকার সাইরাস নামের একজন ব্যাবসায়ী সর্বপ্রথম তার ব্যবসার পার্টনারের সঙ্গে “Atlantic Telegraph Company” প্রতিষ্ঠা করেন। এবং এই কোম্পানিকেই সর্বপ্রথম সাবমেরিন ক্যাবল এর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এবং ১৮৫৮ সালে উক্ত ক্যাবল প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হয়। এই ক্যাবল এর মাধ্যমে ব্রিটেন বা বর্তমানের যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র কে সংযুক্ত করে। এবং ইতিহাস অনুযায়ী এই ক্যাবল এর মাধ্যমেই তখন রাণী ভিক্টোরিয়া এবং জেমস বিউক্যানান মেসেজ আদান প্রদান করতেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই মেসেজ যেতে টাইম লাগতো প্রায় ১৬ ঘণ্টা। বুঝতেই পারছেন কি অবস্থার মধ্যে দিয়েই না এই সাবমেরিন ক্যাবল এর যাত্রা শুরু হয়।
তবে এই ক্যাবল ১ মাসের বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, তবে ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য এক আগাম বার্তা ছিল এই সাবমেরিন ক্যাবল বা তৎকালীন সাবসি ক্যাবল।
সময়ের বিবর্তনে সাবমেরিন ক্যাবলের অনেক অনেক উন্নতি ঘটেছে এবং বর্তমান সময়ে সবথেকে লম্বা যে সাবমেরিন ক্যাবল তার নাম SEA-ME-WE3 এবং এর দৈর্ঘ্য ৫,৪৩৭ মাইল। এই একটি ক্যাবল এর মাধ্যমেই দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য পশ্চিম এবং ইউরোপের সংযোগ ঘটানো হয়। এই ক্যাবলের আছে ৩৯ টা ল্যান্ডিং পয়েন্ট যার মাধ্যমে চীন, সাউথ কোরিয়া, জাপান, মিশর, গ্রিস, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যকে কানেক্ট করা হয়। ( তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া )
সাবমেরিন ক্যাবল কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ?
সাবমেরিন ক্যাবল হচ্ছে এই আধুনিক দুনিয়ার কানেক্টেড থাকার মুল মন্ত্র। ইন্টারনেট এ আমরা মেসেজিং, কলিং, ব্রাউজিং থেকে শুরু করে যা যা করি তার সবটাই হয় এই ক্যাবল এর মাধ্যমে। এবং এখন সাধারণ যে কল সেটাও করা হয় এই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমেই। পুরো বিশ্বে যে গ্লোবাল ভিলেজের ধারনা তাও এসেছে শুধুমাত্র এই ক্যাবল কানেকশনের সহজলভ্যতার মাধ্যমেই। ওয়্যারলেস কানেকশন এর মধ্যে অনেক সুবিধা থাকলেও আনলিমিটেড এবং কম খরচে ইন্টারনেট মানেই সাবমেরিন ক্যাবল।
সাধারণত একটি সাবমেরিন ক্যাবল এর স্থায়িত্ব হয় ২৫ বছরের মতো। কিন্তু সমুদ্রে ঘুর্নিঝড়, ভূমিকম্প সহ নানান দুর্যোগে প্রায়ই এই ক্যাবলের ক্ষতি হয় যার কারণে আমরা প্রায়ই নেট এর সমস্যায় ভুগে থাকি।
আর কোন এক জায়গায় সমস্যা হওয়া মানে সেটা খুঁজে বের করা এবং পানির গভীরে গিয়ে সেটাকে মেরামত করা যা অনেক সময়ের ব্যাপার।
একারণেই মাঝে মধ্যে যখন বঙ্গোপসাগরে সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ করা হয় তখন ঘোষণা দেয়া হয় যে কতক্ষণ ইন্টারনেট থাকবে না এবং সেটা নিউজ ও হয়। অনেক সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে সপ্তাহ ও অব্ধি লেগে যায় ফিক্স করতে।
সাবমেরিন ক্যাবলের ম্যাপ!
এতকিছু জানার পরে নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে সাবমেরিন ক্যাবল গুলো কোথায় কোথায় ছড়ানো আছে। এবং আপনাকে সেই সুবিধা দেয়ার জন্য অসাধারণ দুইটি সাইট আছে।
Submarinecablemap
এই সাইটে আপনি গুগল ম্যাপের মতো করে কোথায় কোথায় কিভাবে সাবমেরিন ক্যাবল বিস্তৃত আছে সেটা দেখতে পারবেন। সাইট এড্রেস https://www.submarinecablemap.com/
Infrapedia
এই সাইট এও আপনি আগের মতোই ম্যাপ দেখতে পারবেন এবং আর মজার ব্যাপার হচ্ছে একদম লাইভ স্ট্যাটাস ও এখানে দেখার সুবিধা আছে। অর্থাৎ কোন ক্যাবল এর এখন কি অবস্থা সেটা জানতে পারবেন এই সাইটে গিয়ে। এড্রেস https://live.infrapedia.com/
সাবমেরিন ক্যাবল মেইন্টেইন করে কারা?
সাবমেরিন ক্যাবল মেইন্টেইন করা বেশ অনেক ঝামেলার এক্ষেত্রে যেহেতু অনেক গুলো দেশ কভার করা হয় এবং সেই সঙ্গে পানির নিচে কাজ করা হয় সেক্ষেত্রে অনেক বেশি টাইম এবং অনেক শ্রমিক এর প্রয়োজন হয়।
২০ থেকে ২১ দশকের দিকে শুধুমাত্র টেলিকমুনিকেশন কোম্পানির লোকজন ই সাবমেরিন ক্যাবল সেটআপ করতো এবং তারা নির্দিষ্ট একটা চার্জ করতো। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ধীরে ধীরে বড় বড় কোম্পানি গুলোও এখন নিজস্ব সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন শুরু করেছে যেমন গুগল, মাইক্রোসফট, এমাজন এবং ফেসবুক। এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তারা নিজেদের ক্যাবল বিস্তৃত করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে নিজেদের ক্যাবল কেন প্রতিষ্ঠা করছে। আসলে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব এর মতো ভিডিও প্লাটফর্ম কিংবা জুম এর মতো মিটিং প্লাটফর্ম গুলোর পারফরম্যান্স খুব ভালো হতে হয়। সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতেই তারা নিজেদের সার্ভিস ভালো করার লক্ষ্যে নিজেদের ক্যাবল স্থাপন করছে।
সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা বেশ কঠিন কাজ এক্ষেত্রে স্পেশাল জাহাজ এবং এই ফিল্ডের নির্দিষ্ট অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার এর প্রয়োজন হয়। এছাড়া এই কাজটাও বেশ জটিল এবং অনেক সময়ের ব্যাপার। সব কিছু মিলিয়ে টেলিকমুনিকেশন কোম্পানি এবং বর্তমান সময়ে টেক জায়ান্ট গুলো এই সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করছে।
সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে বহুল আলোচিত প্রশ্ন-উত্তর
পৃথিবীতে কত গুলো সাবমেরিন ক্যাবল আছে?
২০২১ এর শুরু অনুযায়ী এখন অব্ধি ৪২৬ টি সাবমেরিন ক্যাবল সারা বিশ্বে সার্ভিস প্রদান করছে। যেহেতু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ক্যাবল সংযোজিত হচ্ছে তাই এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
উপরের সাইটের ম্যাপ গুলো কি এক্স্যাক্ট ক্যাবল লোকেশন দেখায়?
না, গুগল ম্যাপে বা অন্য ধরনের ম্যাপে যেমন একদম এক্স্যাক্ট লোকেশন দেখাতে পারেনা তেমনি উপরের দেয়া ক্যাবল ম্যাপগুলোও প্রায় কাছাকাছি লোকেশন দেখালেও এক্স্যাক্ট লোকেশন দেখাতে পারেনা।
কত কিলোমিটার ক্যাবল আছে সারাবিশ্বে?
এখন অব্ধি প্রায় ১.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল স্থাপিত আছে। অনেক ক্যাবল আছে দৈর্ঘ্যে বেশ ছোট আবার অনেক ক্যাবল আছে দৈর্ঘ্যে অনেক বিশাল, সবগুলোর দৈর্ঘ্য মিলিয়েই প্রায় ১.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার হয়।
কত পরিমাণ ডেটা ক্যাবলে বহন করা সম্ভব?
ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার করার ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। ৫ বছরের আগের স্থাপিত ক্যাবল আর নতুন স্থাপিত ক্যাবলের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকে। একদম নতুন ক্যাবল হলে সেগুলোতে প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ২২৪ টেরাবাইট পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যায়।
সাবমেরিন ক্যাবল এর বিকল্প কি?
বিকল্প সব কিছুর ই আছে তবে সাবমেরিন ক্যাবল এর বেলায় এসে সেটা তুলনামূলক ভাবে কম। ওয়ারল্যাস মাধ্যমের খরচ এবং আনুশাঙ্গিক সমস্যার কারণে এখন অবধি সাবমেরিন ক্যাবল ই টিকে আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক, গুগল এর মতো জায়ান্ট কোম্পানি স্যাটেলাইট, ড্রোন উৎক্ষেপণের মাধ্যমে যেসব এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবল ইন্টারনেট পৌঁছায় নি সেসব জায়গায় ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার এলন মাস্ক এর স্টার লিংক ও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আশা যোগাচ্ছে, কিন্তু এত সবকিছু স্বতেও এখন অবধি সবচেয়ে সুবিধাজনক সাবমেরিন ক্যাবল।
সাবমেরিন ক্যাবল কি মাঝে মধ্যেই কাটা পরে?
উহু তেমন না। পূর্বে সাবমেরিন ক্যাবল বসানো হত বেশ সাধারণ এবং আনসেফ ভাবে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সাবমেরিন ক্যাবল এখন বসানো হয় একদম সমুদ্রের নিচে এবং সেই সাথে কয়েক লেয়ারের প্রোটেকশনের কারণে বেশ নিরাপদ ই থাকে। কিন্তু তবুও মাঝে মধ্যেই দেখায় যায় মাছ ধরার জাহাজ, পাইলিং এরকম বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরকম ঘটনা খুব কম, বছরে ১০০ টার মতো ঘটে। এবং সেগুলোও বেশ দ্রুত সল্ভ করা নয়।
পরিশেষে
সাবমেরিন ক্যাবল প্রযুক্তি বেশ পুরাতন হলেও এর উন্নয়ন দিন দিন বেড়েই চলেছে, একসময় যে মাধ্যমে একটা মেসেজ যেতে সময় লাগতো ১৬ ঘণ্টা এখন সেই একই মাধ্যমে ১ সেকেন্ডে ২২৪ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর উপস্থিতির কারণেই ধীরে ধীরে মানুষ সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে জানতে চাচ্ছে। আশা করছি এই অব্ধি পড়ার পরে সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে আপনার আর কোন কনফিউশন কিংবা প্রশ্ন নেই। যদি কোন ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ