বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ : এটি কিভাবে কাজ করে?

আপনার, আমার পরিচিত বাংলাদেশ আজ বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ছোঁয়া শুধু আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কিংবা রাশিয়ার মত উন্নত দেশেই আজ সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি নানা দিক থেকে বয়ে এনেছে নানান সুবিধা। আর দিনদিন আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরো সহজ, সুন্দর এবং বিলাসবহুল। স্যাটেলাইট নামটার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। আর আপনি যদি এখনো পরিচিত না হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষুণি জেনে নিন। জেনে নিন বাংলাদেশও ১১ই মে, ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যাল্কন-৯ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যাটেলাইট দুনিয়া্য পদার্পণ করেছে। এক অন্যতম সুপরিচিত এবং গর্বিত এক রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে আজ সে বিরাজমান। আর সেই সাথে বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের এক উল্লেখযোগ্য ধাপ হিসেবেও একে আখ্যায়িত করা হয়।

স্যাটেলাইট কি? একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা

স্যাটেলাইট কি সমন্ধে জানার আগে একটু উপগ্রহ নিয়ে জেনে আসা যাক। উপগ্রহকে একটা বৃত্তের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। একটা বৃত্তে একটা বিন্দুকে কেন্দ্র করে তার পরিধির বিন্দুগুলো অবস্থান করে থাকে। উপগ্রহও তেমনি যেকোন কিছুকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে অবস্থান করে। তবে এখানে পার্থক্য হলো বৃত্তের ক্ষেত্রে সব বিন্দু একই লাইনে থাকে। তবে একাধিক উপগ্রহের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষপথ নির্বাচন করা থাকে।  এই উপগ্রহকে আবার ভাগ করা হয় দুই ভাগে। এক প্রাকৃতিক উপগ্রহ আর অন্য প্রকার হলো মানবসৃষ্ট বা কৃত্তিম উপগ্রহ।

প্রাকৃতিক উপগ্রহের উদাহরণ হলো আমাদের সুপরিচিত চাঁদমামা। অন্যদিকে স্যাটেলাইট হলো এক ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা ঠিক উপগ্রহের মতোই একটি গ্রহের চারদিকে ঘুরতে থাকে। তবে এখানে মূল পার্থক্যটা হলো স্যাটেলাইট মূলত মানুষ তার প্রয়োজনে ব্যবহার করে এবং উপগ্রহ প্রাকৃতিক ভাবেই পরিবেশে বিরাজমান। বঙ্গবন্ধু-১ হলো তেমনি এক কৃত্রিম উপগ্রহ, যা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর পিছনের ইতিহাস!

বঙ্গবন্ধু-১ হলো বাংলাদেশের প্রথম ভূ-স্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালের সময়। ঐ সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কাছে ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ কক্ষপথটি বরাদ্দ চায়। সেদিন বাঙ্গালী স্বপ্ন দেখেছিল আকাশে তাদের স্যাটেলাইটের। কিন্তু এই আশাকে গুড়ে বালি করে ২০টি দেশের আপত্তি। কিন্তু থেমে যায়নি বাংলাদেশ।

এর এক বছর পরেই  বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ২০০৮ সালে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মান বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। তারপরের বছর ২০০৯ সালেই জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালায় যুক্ত করা হয় রাষ্ট্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ এর বিষয়টি। তারপর  বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্তিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন  ইউনিটের(আইটিইউ) কাছে ইলেক্ট্রনিক আবেদন করে বাংলাদেশ।

এরপর ২০১২ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু-১ এর নকশা তৈরির জন্য মূল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ’স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ কে। আর স্যাটেলাইটের সিস্টেম কিনতে ফ্রান্সের কোম্পানী থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে এক হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি। এর কয়েক বছর পর ২০১৫ সালে বিটিআরসি একটি ক্ক্ষপথ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। আর তারই বাস্তবায়নস্বরূপ ওই বছরেই তারা রাশিয়ার স্যাটেলাইট কোম্পানি ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটালস্লট) কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ও কিছুদিন পর আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কৃত্তিম উপগ্রহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়। আর সেই সংস্থাকে প্রাথমিক মূলধন হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ঠিক এর পরের বছরই ১১ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বহুল প্রতিক্ষিত ‘বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট’ মহাকাশের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা শুরু করে। তবে প্রথম দিকে উৎক্ষেপণের তারিখ ঠিক করা হয়েছিলো ২০১৭ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর। কিন্তু হ্যারিকেন ইরমার কারণে ফ্লোরিডার সাংঘাতিক ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পিছিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু-১ এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বাহ্যিক বিবরণঃ

পৃথিবীর অন্যতম খ্যাতনামা স্যাটেলাইট নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস কতৃক নির্মিত হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১। আর এর গায়ে বাংলাদেশের চির লাল সবুজ পতাকার নকশার ওপর ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু ১। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও রয়েছে এতে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মোট ট্রান্সপন্ডার ৪০ টি যার ১৪ সি ব্যান্ডের(c-band) আর বাকি ২৬ টি কেইউ ব্যান্ডের (KU-band) । এগুলির মধ্যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যবহার করবে ২০ টি আর বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে।

মহাকাশে অবস্থানঃ

১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘীমার ভূস্থির কক্ষপথে অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধু-১। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫,৮০০ কিমি উপরে অবস্থিত। এটি নিরক্ষরেখা বরাবর ঐ কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে ২৪ ঘণ্টায় একবার প্রদক্ষিণ করবে। আর এই প্রদক্ষিণের দিক হবে পৃথিবীর আবর্তনের দিকে অর্থাৎ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। ফলে গ্রাউন্ড স্টেশনের সাপেক্ষে এটি স্থির মনে হবে। আর এজন্যই একে জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট বা ভূ-স্থির উপগ্রহ বলা হয়।

 গ্রাউন্ড স্টেশনঃ

বাংলাদেশের গাজীপুরের তালিবাবাদ ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২ টি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গাজীপুর এবং বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে বেতবুনিয়া ব্যবহ্রত হবে। বাংলাদেশের বাইরেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ফিলিপাইনে ও এবং ইন্দোনেশিইয়া দুটি উপকেন্দ্র ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়ে গেছে।

মেয়াদকালঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ ভর প্রায় ৩৫০০ কেজির মতো। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মেয়াদকাল হবে ১৫ বছর। তবে ইন্টারস্পুটনিকের সাথে ১৫ বছরের চুক্তি করা হলেও তিন ধাপে তা ৪৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

 ক্ষমতাঃ

স্যাটেলাইটের কেইউ ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশসহ বঙ্গোপসাগর, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান,শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। অপরদিকে সি ব্যান্ড বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, ভূটান,নেপাল, শ্রীলঙ্কা,আফগানস্থান,পাকিস্তান, তাজিকিস্থান,কিরগিস্তান,উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কাজাখস্তান এর একটি বড় অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। যেহেতু প্রত্যেকটি ট্রান্সপন্ডার থকে ৪০ মেগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ সরবরাহ পাওয়া যাবে, সেই হিসেবে ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হবে ১৬০০ মেগাহার্টজ। তবে কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে পুরোটা ব্যবহার না করা গেলেও কমপক্ষে ১৪০০ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হয়।

আকাশে উড়াল দিল বঙ্গবন্ধু-১

সব প্রতিক্ষা শেষ করে অবশেষে উড়াল দেয়া্র পালা আসে বঙ্গবন্ধু-১ এর। ১১ মে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয় কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে। আর ৫৭ তম দেশ হিসাবে স্যাটেলাইট উতক্ষেপণকারী দেশের তালিকাভুক্ত হয় বাংলাদেশ। অন্যদিকে ফ্যাল্কন-৯ এর নতুন সংস্করণের প্রথম সফল উৎক্ষেপণ ছিল এটি। যাত্রা পথ কিছুটা এমন ছিল-

বঙ্গবন্ধু-১ বহনকারী ফ্যাল্কন-৯ রকেটের সাথে  যখন তা উৎক্ষেপণ করা হয় ঠিক তার দেড় মিনিটের মধ্যেই তা সবার দৃষ্টিগোচর হয়ে অর্থাৎ ম্যাক্স ভিউ অতিক্রম করে। ঠিক পর পরই কাজ শুরু হয় রকেটের স্টেজ-১ এর। নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে এটি খুলে যায় এবং ড্রোন এয়ারশিপের মাধ্যমে নেমে আসে আটলান্টিক মহাসাগরে।  এরপর ঠিক ২ টা ৪৭ মিনিটে কাজ শুরু করে দেয় স্টেজ-২ । বঙ্গবন্ধু-১ পৌছে যায় নিজের অরবিটে।  আকাশে ভাসমান হয় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট।

বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট এর সুবিধাসমূহ

  • ই-সেবার উন্নয়নঃ
    বাংলাদেশের টেলিমেডিসিন,ই-লার্নিং,ই-রিসার্চ,ভিডিও কনফারেন্সিং, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সকল সেক্টরেই সার্বিক সমৃদ্ধির এক অগাধ রাস্তা খুলে দিবে এই স্যাটেলাইট। হঠাত কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও এটি সারাদেশে নিরবিচ্ছন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখবে, যা পূর্বে অনেকটাই অসম্ভব ছিলো। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেমনঃ দুর্গম দ্বীপ,নদী ও হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলেও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা সম্ভব হবে।
  • বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনঃ
    যেহেতু বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের মোট ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০ দেশের অভ্যন্তরীণে ব্যবহার করা হবে আর বাকি ২০ বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট ভাড়া দেওয়া হবে, তাই এটি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য এক অন্যতম রাস্তা খুলে দিবে। ধারনা করা হয়, স্যাটেলাইট সার্ভিস বিক্রি করে বাংলাদেশ বছরে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারে।
  • মহাকাশ গবেষণাঃ
    বাংলাদেশের মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণার এক বিশাল দুয়ার উন্মোচন হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু -১ স্যাটেলাইটের হাত ধরেই। যার ফলস্রুতিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী এবং মহাকাশবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহী হবে বলে আশা করা যায়। এও ধারণা করা হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহাকাশবিজ্ঞান বিভাগ খোলা হবে। তবে এর জন্য দরকার পর্যাপ্ত সরকারী সহায়তা ও ফান্ডিং । যা পেলে শুরু হবে গবেষণার এক নতুন অধ্যায় আর বাংলাদেশ পেতে পারে নিজস্ব গবেষণা সংস্থা।
  • সামরিক ও প্রতিরক্ষা সুবিধাঃ
    বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীও বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সুবিধা ভোগ করতে চলেছে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে। স্যাটেলাইট ফোন হলো এমন একটি ফোন যাকে কখনো ট্রেস করা যায় না। এটি চালাতে কোনো তারও লাগে না। রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে এটি কাজ করে। বাংলাদেশের রাক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এবং সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে তাই বঙ্গবন্ধু-১ অনেক বড় একটি প্রতিযোগিতামূলক এজেন্ট হতে চলেছে।

পরিশেষে আমরা একটি কথাই বলতে পারি যে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে চিরায়িত থাকবে। এটি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের ৫৭ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের অভিজাত ক্লাবের এক গর্বিত সদস্য।

You May Also Like

আনছের আলী

About the Author: আনছের আলী

ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ প্রযুক্তির উপর। আর এই আগ্রহ থেকেই জাগ্রত হয়েছে প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার এবং জানানোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!